ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলায় বাড়ছে শীত। এতে শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে ভোলা হাসপাতালে ৮৪ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রয়েছে ১৭ জন শিশু। এ পর্যন্ত মারা গেছে ২ শিশু। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী রয়েছে ৩৬ জন।
ভোলা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গত ৭ ডিসেম্বর আলিফ ও ৮ ডিসেম্বর হাবিবা নামে দুই শিশু নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এ তথ্য নিশ্চিতি করেছেন শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত স্টাফ নার্স সুমা রানী। তিনি বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। ৫ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত শিশু ওয়ার্ডে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে ১৭ জন। অন্যদিকে নবজাতক ওয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে (স্কেনো-ওয়ার্ড) নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী না থাকলেও এক সপ্তাহে রোগী ভর্তি হয়েছে ৫৯ জন।
শিশু রোগী সুমাইয়ার মা সাজেদা বেগম বলেন, গত কয়েকদিন থেকে শিশু অপুষ্টিজনিত কারণে ভুগছিলো। চিকিৎসকের পরামর্শে ৪ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করার পর জানা গেলো শিশুর নিউমোনিয়া হয়েছে। তবে শিশুর অবস্থা বর্তমানে কিছুটা ভালো। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেক শিশু জুনায়েদের অভিভাবক ফাতেমা বেগম বলেন, ২ দিন আগে শিশুর ঠা-া ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। হাসপাতালে ভর্তি করার পর নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। তার চিকিৎসা চলছে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের ঠা-াজনিত নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলেও জানান তিনি।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশু ও বয়স্কদের শীতজনিত রোগ বাড়ছে। তবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আমাদের ডাক্তার ও নার্স তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ রয়েছে। শিশু রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে। এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে ভোলায় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে প্রকৃতি। এতে বেড়েই চলছে শীতের প্রকোপ। শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) দিনের সর্বনি¤œ তাপমাত্র ছিলো ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোলা আবহাওয়া অফিসের অবজারভার মো. মনির জানান, দিনের তাপমাত্রা ওঠানামা করছে, ঘন কুয়াশার প্রকোপ আরো ২/৩ দিন থাকতে পারে।
Leave a Reply